গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সেকশন অফিসার পদে নিয়ম বর্হিভুতভাবে নিয়োগ দেয়ায় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনসহ ৪nজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, অধ্যাপক ড. মোশাররফ আলী, অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল মান্নান এবং সেকশন অফিসার শারমিন চৌধুরী। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সহকারী পরিচালক রিজন কুমার রায় বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালের ২০১৮ সালের ২০সেপ্টেম্বর হতে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পযর্ন্ত তারিখের স্মারক নং-৭৬৩-তে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সেকশন অফিসারের ১৬টি পদসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১৬টি শূন্য পদের স্থলে শারমিন চৌধুরীসহ ২০ জনকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
এছাড়াও দুদক থেকে আরো জানা যায়, উক্ত পদে ৮৭০ জন আবেদকারীর ডাটা শীটে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের স্বাক্ষর রয়েছে। উক্ত তালিকায় আসামী শারমিন চৌধুরীর নাম নেই। তাছাড়া নিয়োগ কমিটির সুপারিশ তালিকার ৮৭৩ নম্বর ক্রমিকে শারমিন চৌধুরীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হলেও বাস্তবে ৮৭৩ নম্বর ক্রমিক ডাটা শীটে নাই। অর্থাৎ আবেদন তালিকায় না থাকার পরও জাল-জালিয়াতি করে শারমিন চৌধুরীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে প্রার্থীর বয়স ৩২ বছর হওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে আসামী শারমিন চৌধুরীর বয়স ৩২ বছরের বেশি ছিল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আসামী শারমিন চৌধুরীর বয়স ৩২ বছরের স্থলে ৩৩ বছর ৩ মাস থাকার পরও বে-আইনিভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১৬টি শূন্য পদের স্থলে ২০ জনকে নিয়োগ ও ডাটা শীটে নাম না থাকার পরও নিয়োগ দিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ জানুষারী নানা অনিয়ম ও অভিযোগের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল। এ অভিযানে অনিয়মের সত্যতা পায় দুদক।